আব্দুস সালাম,টেকনাফ (কক্সবাজার)
কক্সবাজার সদরের সুগন্ধা বীচ পয়েন্ট এবং টেকনাফের মৌলভীবাজার মুসলিমপাড়া এলাকায় পৃথক দু’টি অভিযান চালিয়ে মাদক মামলার সাজাপ্রাপ্ত দুইজন পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৫ এর সদস্যরা।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন,কক্সবাজার পৌরসভার
দক্ষিণ রুমালিয়ারছড়ার আব্দুল মোন্নাফ
প্রকাশ কালুর ছেলে।মোঃ শামসুল আলম (২৫) এবং
টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের মৌলভীবাজার মুসলিমপাড়া এলাকার মৃত আবুল কাশেম সওদাগরের ছেলে মোঃ জাকির হোসেন প্রকাশ টেম্পু জাকের (৩৮)।
কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ও সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল’ এন্ড মিডিয়া) দেবজিত পাল গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান,বুধবার (২০ নভেম্বর) চাঁদপুর মডেল থানার মামলা নং ১১, তারিখ-০৩/০২/২০১০, জিআর নং-৭২/১০, ধারা-মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন এর ১৯(১) এর টেবিল ৭(ক) মাদক মামলার সাজা পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামী মোঃ শামসুল আলমকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-১৫, কক্সবাজার এর গোয়েন্দা তৎপরতা চলমান থাকে। এরই প্রেক্ষিতে, র্যাব-১৫, সদর কোম্পানীর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী কক্সবাজার সদর থানাধীন সুগন্ধা বীচ এলাকায় আত্মগোপনে অবস্থান করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের একটি চৌকস আভিযানিক দল উক্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মাদক মামলায় সাজা পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামী মোঃ শামসুল আলম (২৫) কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। উক্ত মামলায় সে ২ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ডসহ ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড সাজা পরোয়ানাভুক্ত আসামী।
এছাড়াও অপরদিকে একইদিনে চট্টগ্রাম সিএমপি হালিশহর থানার মামলা নং ১২(৩)১৫, জিআর-৫০/১৫, প্রসেস নং-৪২৯/২৪, ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯(০১) এর ৯(খ) ধারা মোতাবেক পাঁচ বছরের সাজাপ্রাপ্ত মাদক মামলার পলাতক আসামী মোঃ জাকির হোসেন প্রকাশ টেম্পু জাকের’কে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১৫, সিপিসি-১ টেকনাফ ক্যাম্পের আভিযানিক দল টেকনাফ হ্নীলা ইউনিয়নের মৌলভীবাজার মুসলিমপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় উক্ত এলাকা থেকে পলাতক আসামী মোঃ জাকির হোসেন প্রকাশ টেম্পু জাকের (৩৮) কে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরো জানান,গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে শামসুল আলমকে কক্সবাজার সদর মডেল থানা এবং জাকির হোসেন প্রকাশ টেম্পু জাকের’কে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
পাঠকের মতামত